সাম্প্রতিক খবর

টপ বিজনেস আইডিয়া – বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

চলুন আজ জেনে নেই টপ বিজনেস আইডিয়া, বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া, বড় ব্যবসার আইডিয়া, বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা, স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া, স্টক ব্যবসার আইডিয়া, বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া, গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২১, গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া, উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া, বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া, পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া, নতুন ব্যবসার আইডিয়া, সেরা ব্যবসার আইডিয়া, ১০০ টি ব্যবসার আইডিয়া, ছোট ব্যবসার আইডিয়া, নিত্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া, উদ্যোক্তা বিজনেস আইডিয়া, ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া, টপ বিজনেস আইডিয়া, গ্রামে বিজনেস আইডিয়া, শহরে ব্যবসার আইডিয়া, স্টুডেন্ট বিজনেস আইডিয়া, বিজনেস আইডিয়া ২০২৩, স্টক ব্যবসার আইডিয়া।

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা – গ্রামে লাভজনক নতুন ব্যবসার আইডিয়া

আজ আপনাদের সাথে ২০২৩ সালে শুরু করার জন্য সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, টপ বিজনেস আইডিয়া ও সহজ এবং সফল ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করব যা একটি বাস্তব ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার সহায়তা করবে।

ব্যবসার আইডিয়া পেতে কি করবেন?

ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সমস্যা শনাক্ত করা।আপনি যদি ব্যবসায়িক ধারণা পেতে চান, তাহলে প্রথমে প্রধান সমস্যাগুলি শনাক্ত করুন এবং ব্যবসায়ের মডেলের মাধ্যমে তা সমাধান করুন।

বিজনেস আইডিয়া খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলে অনেক নতুন ব্যবসার আইডিয়া পাবেন। তবে আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন না করলে আপনি হাজার হাজার ব্যবসায়িক আইডিয়া থেকে কোন আয় করতে পারবেন না।

লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া (Profitable new business idea)

আমাদের দেশে পোশাক শিল্প, পোল্ট্রি শিল্প, চা শিল্প, চামড়া শিল্প, সামুদ্রিক মাছ শিল্প সহ অনলাইন ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। সাফল্য পেতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এই তালিকায় নতুন ব্যবসার আইডিয়া দেয়া হয়েছে। এখান থেকে আপনার পছন্দমত বিজনেস আইডিয়া দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

ট্যুরিজম ব্যবসা

আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক পর্যটক আসে। অনেকেরই ভ্রমণের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই , তাই তাদের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিতে হয়। আপনি সেই পর্যটকদের কাস্টমাইজড বা ট্যুর প্যাকেজ অফার করতে পারেন যার মধ্যে হোটেল বুকিং, ট্রেন বা এয়ার টিকেট, জায়গা নির্ধারণ ইত্যাদি রয়েছে। আপনি কম বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসা।

ফ্রিলান্সিং ট্রেইনিং কোচিং

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেশি তাই ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সি দ্বারা তরুণদের এবং বেকারদের সাহায্য করার জন্য এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন সাথে বিপুল মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

শত শত ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সি এটি নিয়ে কাজ করছে যা এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউটের প্রধান দুর্বল বিষয় হল তারা মানসম্মত প্রশিক্ষণ দেয় না। আপনি যদি সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারেন,তবে এটি আপনার ব্যবসাকে বাড়িয়ে তুলবে।

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলি প্রশিক্ষণ দেয় গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেট, ভিডিও এডিটিং, অ্যাপস ডেভেলাপমেন্ট, 3D অ্যানিমেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিষয়ের উপর।

ফাস্ট ফুড শপ ব্যবসা

এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ প্রিয় ব্যবসায়িক আইডিয়া। সবাই খেতে ভালোবাসে এবং খাবারে ভিন্ন স্বাদ খেতে চায়। কিন্তু আপনাকে এই ব্যাবসায় প্রচুর পরিমাণে ইনভেস্ট করতে হবে। আর আপনি যদি ভালো স্বাদ এবং সেবা দেন, তাহলে আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন।

 কমার্স ব্যবসা

ইকমার্স ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। একটি ইকমার্স সাইট তৈরি করা বেশ কঠিন নয়। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে এটি করতে পারেন। আর যদি নিজে করতে না পারেন, তবে আপনি বাজেটের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য একজন ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করতে পারেন।

আপনি যা বিক্রি করতে চান তা নির্বাচন করুন এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিক্রয় সাড়া পেতে পারেন। সাথে সাইট এসইও করুন এবং গুগলে কীওয়ার্ড রেঙ্ক করুন।

জিম সেন্টার খুলে ব্যবসা করতে পারেন

বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষ শারীরিক এবং মানসিক ব্যাপারে অনেক সচেতন। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম করে থাকে। তবে অনেকে যে সমস্যায় ভুগে সেটা হল ব্যায়াম করার জন্য নানান ধরনের ওয়ার্কআউট মেশিন সংগ্রহ করতে পারেনা।

কারণ মেশিনগুলো বেশ দামী হয়ে থাকে। এজন্য জিম সেন্টারে যেয়ে ব্যায়াম করে। ধীরে ধীরে জিম সেন্টার এর চাহিদা বেশ বেড়েই চলছে। এই সুযোগটা আপনিও কাজে লাগাতে পারেন।

খেলনার দোকান

খেলনা শিশুদের মাঝে দিন দিন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খেলনার বাজার একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। বেশিরভাগ খেলনা চীন থেকে আসে। চীন খুব সস্তায় খেলনা তৈরি করতে পারে। তাই, যদি আপনি বাল্ক অর্ডার আমদানি করেন, তবে গড় মূল্য কম হবে। সুতরাং, আপনার মুনাফা বেশি হবে।

তবে একটি জিনিস আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে তা হল খেলনা শুধুমাত্র শিশুদের জন্য। সুতরাং, আপনাকে অবশ্যই বাজার চাহিদা বিশ্লেষণ করতে হবে কারণ পুরানো ফ্যাশনের খেলনাগুলি আনলে আপনার ব্যবসা নাও চলতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। আপনি চিন্তা করতে পারবেন না যে একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার মাসে কত উপার্জন করে। অনেক মার্কেটার আছে যারা শুধু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ১০ হাজারেরও বেশি ডলার আয় করছে।

বাংলাদেশের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা সাধারণত অ্যামাজন পণ্যের প্রচার করে থাকে। কেউ যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে কোন পণ্য কিনে থাকেন, আপনি তার জন্য একটি কমিশন পাবেন।

গিফট শপ

গিফট শপ আজকাল খুব জনপ্রিয়। প্রত্যেকে বিশেষ দিনে একে অপরকে উপহার দেয় যা একটি লাভজনক ব্যবসা। কিন্তু এর জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে এই ব্যবসা অনলাইনেও করতে পারবেন।

মোমবাতি তৈরি করে ব্যবসা

আগের সময়ের মত অন্ধকারকে দূর করার জন্য মোমবাতি ব্যবহার করা হয় না। তবে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অথবা বিভিন্ন স্থানকে বা ঘরকে আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন রঙের এবং বিভিন্ন ডিজাইনের মোমবাতি ব্যবহার করা হয়। এই ব্যবসাটি বেশ নতুন একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

ধীরে ধীরে এই ব্যবসার চাহিদা বেড়েই চলছে। এ ব্যবসায় লাভও অনেক বেশি। তবে পুজি অনেক কম লাগে। এ ব্যবসাটি আপনি খুব সহজেই শুরু করতে পারেন।

ফুচকা এবং চটপটির ব্যবসা

মানুষ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ফুচকা এবং চটপটি পছন্দ করে। কিন্তু যারা এই ব্যবসা করছেন তারা এর মান বজায় রাখে না। ফুচকা এবং চটপটির বেশিরভাগ জায়গাই অস্বাস্থ্যকর। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ তাই এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিত্যাগ তাই এখানেই আপনার ব্যবসার সুযোগ রয়েছে।

এখানে খুব কম বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। আপনাকে কেবল সবকিছু প্রক্রিয়া করতে এবং সুস্বাদু করতে জানতে হবে। যদি আপনি পরিষ্কার এবং ফ্রেশ উপাদান প্রক্রিয়াকরণের সাথে সুস্বাদু ফুচকা এবং চটপটি দিতে পারেন মানুষকে তবে এটি একটি দুর্দান্ত ব্যবসায়ের হবে।

কোচিং ব্যবসা

কোচিং ব্যবসা আমাদের দেশের বেশ লাভজনক ব্যবসা। যেহেতু একজন প্রাইভেট টিউটর ব্যয়বহুল তাই একটি মানসম্পন্ন কোচিং সেন্টার খরচ সাশ্রয়ী হয় শিক্ষার্থীদের জন্য। কোচিং ব্যবসায় ব্যর্থতার ঝুঁকি খুবই কম থাকে।

কিন্তু আপনি একটি কোচিং ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে ভালো \ শিক্ষক, ভালো পরিবেশের ক্লাসরুম, একটি কার্যকর পরীক্ষা ব্যবস্থা।

হোম মেইড ফুড

বাংলাদেশের বাজারে ঘরে তৈরি খাবারের চাহিদা রয়েছে কারণ ঘরে তৈরি খাবার টাটকা এবং ভালো স্বাদের হয়।স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ঘরে তৈরি খাবার খেতে চায়। তারা রেডিমেড খাবারে আগ্রহী নয় কারণ এটি বেশিরভাগ সময় ভেজাল এবং অস্বাস্থ্যকর হয়।

আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট খাবার ভালোভাবে রান্না করতে পারেন, তা হতে পারে যে কোনো ধরনের পিঠা, চাটনি , কেক জাতীয় খাবার। আর আপনি যদি এটিকে সঠিক উপায়ে প্রচার করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা করে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।

ডেলিভারি কোম্পানি

ঢাকা শহরে অনেক ডেলিভারি কোম্পানি আছে, কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় সংখ্যা কম। তাই, এটি একটি চমৎকার ব্যবসার সুযোগ।

আপনি যদি ডেলিভারি ব্যবসায় টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিযোগীদের দুর্বল দিকগুলো খুঁজতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার কোম্পানিতে সেই ভুলগুলো করবে না। আপনাকে পণ্যটি সময়মতো সরবরাহ করতে হবে, ডেলিভারি চার্জ যুক্তিসঙ্গত হতে হবে, অবশ্যই ব্যবসার মালিককে সঠিক সময়ে অর্থ প্রদান করতে হবে, অবশ্যই ভালো ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।

ফ্যাশন হাউজ

ফ্যাশন হাউজ একটি উপযুক্ত ব্যবসা যা শুরু করার আগে আপনার কিছু পরিকল্পনা করা উচিত। আপনি যদি পাঞ্জাবি, শার্ট, সালোয়ার কামিজ, থ্রি-পিসের মতো সুন্দর পোশাক ডিজাইন করতে পারেন, তবে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

এর জন্য, আপনার প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। এমনকি প্রাথমিকভাবে একটি জায়গা ভাড়া নিতে হবে না। শুধু একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করুন, আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং বিক্রয় করুন।

ছোট কফি শপ

বাংলাদেশে অফিসিয়াল মিটিং বা অবসর সময়ে গরম পানীয় হিসেবে কফির চাহিদা বেশ বেড়েছে। তরুণরাও কফির দোকান পছন্দ করে। এই প্রবণতা বিবেচনা করে, আপনি একটি কফি শপ দেয়ার চিন্তা করতে পারেন। আপনার কফি শপের জন্য একটি ভাল স্থান খুঁজুন যেমন অফিস বা পার্কের কাছে, শপিং মলগুলিতে বা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে।

কসমেটিক্স শপ

অন্য কোন ব্যবসার চেয়ে বাংলাদেশে কসমেটিক্স শপ থেকে প্রায় ৩৫% থেকে ৪০% বা তার বেশি আয় করা যায়।সর্বনিম্ন বিনিয়োগে আপনি কসমেটিক্স ব্যবসা করতে পারেন। 

ফুলের দোকান

একটি ফুল ভালোবাসার প্রতীক। এটি সবচেয়ে লাভজনক এবং কম বিনিয়োগের ব্যবসা। যেকোনো উপলক্ষ্য, বিশেষ দিন, বিয়ের অনুষ্ঠান এবং পার্টি ইত্যাদিতে ফুলের চাহিদা থাকে, তাই আপনি ফুল বিক্রি করে বছরে একটি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ফুলের দোকানের জন্য আপনাকে সঠিক স্থান নির্বাচন করতে হবে। প্লাস্টিকের ফুলও সাথে রাখতে পারেন। বাড়ির সাজসজ্জার জন্যও ফুলের খুব বেশি চাহিদা রয়েছে।

খাবার ডেলিভারি

খাবার ডেলিভারি মূলত একটি শহর ভিত্তিক ব্যবসায়িক আইডিয়া। আপনি এই ব্যবসা চুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে করতে পারেন। আর আপনি ডেলিভারি ম্যান ব্যবহার করে খাবার, লাঞ্চ, ডিনার তাদের ক্লায়েন্টের বাড়ি, অফিস বা কর্মস্থলে পৌঁছে দিতে পারেন।

ইভেন্ট ম্যানেজার

আপনি যদি ইভেন্ট প্ল্যানার হতে চান তবে ছোট থেকে বড় সব ইভেন্ট সাজাতে হবে। এই ব্যবসার চাহিদা অনেক। ছোট থেকে বড় ইভেন্ট রয়েছে যেমনঃ জন্মদিনের পার্টি, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, বিবাহের অনুষ্ঠান, সরকারী অনুষ্ঠান, বার্ষিকী ইত্যাদি যা আপনি করতে পারেন।

মৎস চাষ

যদি আপনার মাছ চাষের জন্য জায়গা থাকে, তবে আপনি বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রথমে, একটি ভাল স্থান বের করুন। এরপর  পানি এবং পরিবেশ বিশ্লেষণ করুন, এটি মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত কিনা। তারপরে মাছের সঠিক প্রজাতি চাষ এবং স্বাস্থ্যকর মাছ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিন। মাছের জন্য সঠিক খাদ্য খুঁজুন এবং পর্যাপ্ত বড় হয়ে গেলে বিক্রি করুন। এই ব্যবসায় আপনার আনুমানিক ৫০০০০-৭০০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হতে পারে।

পোলট্রি ফার্ম

এটি বাংলাদেশে একটি পুরনো ব্যবসা। কৃষিপ্রধান দেশের জন্য একটি ভালো ব্যবসায়িক ধারণা। আপনাকে সঠিক জায়গা, সঠিক ধরনের মুরগি, তাদের খাবার এবং সঠিক নির্বাচন হবে। তবে একটি ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার ভাল প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞান প্রয়োজন।

সবজি ও ফল চাষ

আমরা সারা বছর নানা ধরনের সবজি ও ফল খাই। তাই, বিভিন্ন ধরণের সবজি ও ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনার নিজের সবজি ও ফল চাষের ব্যবসা শুরু করুন। সবজি ব্যবসায়, প্রথম ধাপে আপনার পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করা উচিত, কারণ সবজি একটি পচনশীল পণ্য। আপনি যদি বাংলাদেশে স্বল্প পুঁজি দিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে সবজি চাষ করতে পারেন। আর যদি আপনি একটি সুপার শপে আপনার সবজি ও ফল সরবরাহ করতে পারেন তবে তা দুর্দান্ত হবে।

অনলাইন নিউজ পেপার

অনলাইন সংবাদপত্র আপনার জন্য স্মার্ট ব্যবসায়িক আইডিয়ার মধ্যে একটি হতে পারে। আপনি আপনার অনলাইন জার্নালে ভাইরাল খবর কভার করতে পারেন। সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরের লিঙ্ক শেয়ার করে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাপক ট্রাফিক আনতে পারেন।

একই সময়ে, আপনি নিম্ন প্রতিযোগিতামূলক কীওয়ার্ড টার্গেট করতে পারেন। আর আপনি যদি ব্যাপক ট্রাফিক পাওয়া শুরু করেন, তাহলে আপনার উপার্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

ফটোগ্রাফি ব্যবসা

ফটোগ্রাফি ব্যবসা এখন খুবই লাভজনক। আপনার ফটোগ্রাফি টেকনিক উন্নত করতে থাকুন। মনে রাখবেন যে আপনি যখন একটি ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তখন আপনি আর্থিকভাবে যাই করুন না কেন প্রথমে খুব কম বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। ফটোগ্রাফি ব্যবসা বেশ কম বিনিয়গে শুরু করা যায়।

একটি ব্লগ শুরু করুন

ব্লগিং বিশ্বের সাথে আপনার চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার একটি দুর্দান্ত উপায় ও সহজ উপায়৷ ব্লগিং শুরু করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল WordPress। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি নতুন ব্লগ তৈরি করে এবং ভালো ভালো আর্টিকেল লিখুন। সাথে ভালো ভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) করুন। আর গুগোল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করুন।

একটি বেকারি শুরু করুন

আপনি যদি একটি বেকারি শুরু করার কথা ভাবেন, তবে আপনাকে প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার কাছে প্রয়োজনীয় উপাদান এবং সরঞ্জাম আছে। আপনাকে বেকিং প্রক্রিয়া এবং নিখুঁত পেস্ট্রি তৈরি করাও জানতে হবে। উপরন্তু, একটি ভাল বিপণন কৌশল থাকা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন।

বিউটি পার্লার ব্যবসা শুরু করুন

ব্যবসা শুরু করার জন্য বিউটি পার্লার বেশ ভালো আইডিয়া বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করতে এবং উপযুক্ত পরিমাণে সময় ব্যয় করতে ইচ্ছুক হন তবে একটি বিউটি পার্লার শুরু করা ভালো সিদ্ধান্ত যেখানে কম বিনিয়গে বেশি লাভ হতে পারে।

ব্লক বাটিক ব্যবসা

ব্লক বুটিক ব্যবসা খুব জনপ্রিয়। একটি সাধারণ ব্লক বুটিক ব্যবসার জন্য একটি সুন্দর এবং প্রশস্ত রুম প্রয়োজন। রঙিন কাঁচের কেস, পাথরের কাউন্টারটপ ইত্যাদি ঝুলিয়ে আপনি স্থানটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। ব্লক বুটিক ব্যবসা এখন বেশ লাভজনক ব্যবসা। স্বল্প বিনিয়োগে আপনি একটি খুব ছোট ঘরে এই ব্যবসার মালিক হতে পারেন। যারা এই ধরনের ব্যবসা করতে চান তাদের ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং কৌশল ভালো হওয়া উচিত।

মোবাইল এবং মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা

মোবাইল এবং মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা ঘরে বসেই শুরু করা যায়। আপনার যা প্রয়োজন তা হল একটি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ এবং বিভিন্ন হার্ডওয়্যার যেমন প্রিন্টার, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং অন্যান্য অফিস সরবরাহের অ্যাক্সেস। আপনি অনলাইনে বা খুচরা আউটলেটের মাধ্যমে আপনার এসকল পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

পুরাতন জিনিস ক্রয় ও বিক্রির ব্যবসা

পুরাতন জিনিস সংগ্রহ করে সেগুলোকে বিক্রি করতে পারেন। সেটা মোবাইল হোক বা কম্পিউটার হোক বা ক্যামেরা হোক ইত্যাদি।

এ সকল জিনিস সংগ্রহ করে অফলাইনে হোক অথবা অনলাইনে হোক উভয় ক্ষেত্রে বিক্রি করতে পারবেন ।

এই ব্যবসাটিতে লাভ অনেক বেশি। সাথে এ সমস্ত জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি ও গ্রাহক চাহিদা বেশি।

ক্যাটারিং ব্যবসা

বর্তমান সময়ে অনেকেই জন্মদিন হোক অথবা যেকোন অনুষ্ঠান হোক দেখা যায় দায়িত্ব ক্যাটারিং কর্তৃপক্ষকে দিয়ে থাকে।

তারা অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল কাজ করে দিয়ে থাকে। বর্তমানে এই ব্যবসাটি নতুন একটি ব্যবসা। এ ব্যবসাটি অনেক সফলতা লাভ করেছে। এ ব্যবসায় লাভবান হওয়া যায় অনেক বেশি।

উপরের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া থেকে আশা করি আপনি আপনার পছন্দের টপ বিজনেস আইডিয়া খুঁজে নিতে পারবেন এবং আজই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

Related Articles

Back to top button
error: