দৈনন্দিন জীবন

গবেষণায় প্রমানিত পানি পানের ১১ স্বাস্থ্য উপকারিতা

বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শরীর পানির উপর নির্ভর করে আর সেজন্যই বলা হয় পানির অপর নাম জীবন। পানি শরীরের প্রধান রাসায়নিক উপাদান যা শরীরের ওজনের প্রায় ৬০ শতাংশ। নিয়মিত পানি পান করলে শরীর সতেজ থাকে তবে তা অবশ্যই হতে হবে পরিমাণ মত। অতিরিক্ত বেশি পানি পান করা বা কম পানি পান করা দুটোই শরীরের জন্য ঝুঁকি পুর্ন। শরীরে পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডিহাইড্রেশন হল এমন একটি অবস্থা যেখানে স্বাভাবিক কাজ করার জন্য শরীরের যথেষ্ট পানি থাকে না। এমনকি অল্প ডিহাইড্রেশনেই শরীর শক্তি নিষ্কাশন শুরু করে যা আপনাকে ক্লান্ত করে ফেলে। শরীরের প্রত্যেক কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পানি দরকার। পানির উপকারিতা গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল-

শরীরের বর্জ্য অপসারণ করে

পানি প্রস্রাব, ঘাম এবং আন্ত্রিক ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য অপসারণ করে যা কিডনি পাথর এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

খাবার পরিপাকে সাহায্য করে

পানি খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। পানি শরীরের অঙ্গগুলিতে হরমোন, পুষ্টি, এবং অক্সিজেন বহন করে। তাছাড়া মৃত কোষ, বর্জ্য পদার্থ এবং টক্সিন অপসারণের জন্য দায়ী পানি। অন্যান্য উপাদান যেমন প্রোটিন এবং বিভিন্ন এনজাইমগুলির যথাযথ কার্যকারিতার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয়।

পানি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে

শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য পানি স্বাভাবিকভাবেই দায়ী। দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন, অতিরিক্ত গরমে প্রচুর ঘাম হতে পারে যার ফলে শরীরের তাপমাত্রার তারতম্য হতে পারে এক্ষেত্রে পানি শরীরে শক্তির মাত্রা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করে

হাড়ের রোগ যেমন অস্টিওপোরোসিস, রিকেটস রোগ, জয়েন্টে ব্যাথা প্রতিরোধ করে পানি। শরীরের পর্যাপ্ত পানি থাকলে অস্টিওপরোসিস রোগের ঝুঁকি কমে। হাড়ের জয়েন্টগুলো পিচ্ছিল করে এবং মাংসপেশি আরও স্থিতিস্থাপক রাখতে সহায়তা করে।

শ্বাস প্রশ্বাসে সাহায্য করে

পানি শরীরের মধ্যে অক্সিজেন বিতরণ সহজতর করে। পানি কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে এবং বিষাক্ত গ্যাসগুলি দ্রবীভূত করে যা স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে সহায়তা করবে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, যারা নিয়ম মেনে পানি পান করে, তারা অন্যান্যদের তুলনায় হৃদরোগে কম আক্রান্ত হয়।

কিডনি রোগের ঝুঁকি কমায়

কিডনিতে পাথরের গঠন প্রতিরোধে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিৎ। পানি অতিরিক্ত রাসায়নিক, খনিজ পদার্থ, এবং লবণ যা পাথরের গঠনে অবদান রাখে তা দ্রবীভূত করে। বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়।

ত্বক ভালো রাখে

পানি ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রেখে ত্বককে সতেজ, কোমল এবং মসৃণ রাখে। ত্বকে বয়সের ছাপ পরতে দেয় না।

শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি দূর করে

যেহেতু আমাদের মস্তিষ্কের বেশিরভাগই পানি তাই পানি পান করলে চিন্তা শক্তি ও মনোযোগ বাড়ে।

ওজন কমায়

পানি চর্বি অপসারণ করে ও  ক্ষুধা কমায়। খাবার আগে পানি খেলে খাদ্য গ্রহনের পরিমাণও কমে যায়।

প্রাকৃতিক মাথা ব্যাথা প্রতিকার

পানি মাথাব্যথা থেকে মুক্ত করে যা সাধারণত ডিহাইড্রেশন দ্বারা সৃষ্টি হয়।

রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

নিয়মিত ও পরিমাণমত পানি পান করলে কিডনি রোগ, ফ্লু, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো অন্যান্য রোগের থেকে মুক্তি মেলে।

দৈনিক কত গ্লাস পানি পান করা উচিত, ১ লিটার কত গ্লাস, শীতকালে কতটুকু পানি খাওয়া উচিত, কতক্ষণ পর পর পানি খাওয়া উচিত, বয়স অনুযায়ী পানি পান, রাতে কতটুকু পানি খাওয়া উচিত, দৈনিক কত লিটার পানি পান করলে মূত্রনালীর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন কত লিটার পানি খাওয়া দরকার, বেশি পানি পান করার উপকারিতা, পানির উপকারিতা ও অপকারিতা, রাতে বেশি পানি খেলে কি হয়, পানি বেশি খেলে প্রস্রাব বেশি হয়, কত লিটার পানি পান করা উচিত, ইসলামে পানি খাওয়ার নিয়ম, বিশুদ্ধ পানির উপকারিতা, সকালে বাসি মুখে পানি খেলে কি হয়

Related Articles

Back to top button
error: