বিনোদন

সালমান খান কেন কারাগারে ছিলেন? বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পরুন।

০৫ এপ্রিল, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, দিনটি একটি বিশেষ দিন হয়ে গেল সালমান খানের জীবন খাতায়। এই দিনেই যোধপুর জেল হাজতে প্রবেশ করছেন বলিউড টাইগার সালমান। হাতকড়া পরিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কারাগারে নেয়া হয়। তার আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করেছেন। জেলে তিনি কয়েদী নম্বর ১০৬।

২০ বছর আগের কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালতে সালমান খানকে খুবই বিষণ্ণ অবস্থায় দেখা যায়। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন তার দুই বোন আলভিরা খান ও অর্পিতা খান। আদালাতে সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রুপি জরিমানা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন যোধপুরের একটি আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন আলভিরা। আদালতের মধ্যেই থমকে দাঁড়িয়ে থাকেন সালমান। এই মামলায় অন্য তিন অভিযুক্ত আসামী ছিলেন সাইফ আলী খান, টাবু ও সোনালী বেন্দ্রে। তাদেরকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসের ১ ও ২ তারিখে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সালমান খান। সেই সময় সাইফ আলী খান, নীলম, টাবু ও সোনালী বেন্দ্রে তাঁর সঙ্গে ছিলেন । সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ করেন যে গুলির শব্দ শুনে তাঁরা সালমানের গাড়িটি ধাওয়া করেছিল। কিন্তু সালমান খান গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের ধরতে পারেননি তারা। ওই সময় চালকের আসনে ছিলেন সালমান খান। সেই সময়েই এই মামলায় ১০ দিনের জেল খাটেন এই তারকা এবং পরবর্তীতে জামিনে ছাড়া পান। ২০ বছর পর আবার ওই একই মামলায় তিনি জেল খাটছেন। কৃষ্ণসার হরিণ ভারতের সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। বিষণয় সম্প্রদায় এই হরিণকে পবিত্র মনে করে। উল্লেখ আছে যে এই হরিন প্রজাতি ভগবান কৃষ্ণের রথ টানত। দিন দিন এই হরিণের সংখ্যা বেশ কমে যাচ্ছে।

চিত্র প্রযোজকরা এখন এক দুঃসময়ের মধ্যে রয়েছেন কারণ এক হাজার কোটি রুপির বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে এই নায়ককে ঘিরে।

Related Articles

Back to top button
error: