স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

গর্ভবতী মায়ের যে বিষয় গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের ঔষধ, গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম, গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা, গর্ভবতী মায়ের খাদ্য ও পুষ্টি, গর্ভবতী মায়ের ঔষধ, গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা।

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা, গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকা, ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা, 4 মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের ঔষধ, ১ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা।

গর্ভধারন কোন অসুস্থতা নয়, এটি প্রাকৃতিক নিয়মেরই একটি অংশ। তবে এই সময়টা অন্য সকল স্বাভাবিক সময়ের মতও নয়। বাচ্চা ও মা উভয়ের সুস্থতার জন্য এই সময় কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিত। আশে পাশে অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারেতবেসিদ্ধান্ত নেবার সময় ডাক্তারের পরমার্শ মেনে অনুসরন করা উচিত।

গর্ভধারণের প্রথম দিকে গর্ভপাত হবার কারণ ও গর্ভপাতের উপসর্গ

গর্ভপাত প্রতিরোধ করার উপায় জেনে নিন

গর্ভধারণের আগে গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে যা করবেন

গর্ভকালীন সেক্স প্ল্যানিং কেমন হবে?

গর্ভবতী মায়ের যে বিষয় গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হল-

ভালো গাইনী বিশেষজ্ঞ নির্বাচন ও নিয়মিত পরিদর্শন-

ঢাকা বাংলাদেশের সেরা ১৫ গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

প্রথমেই নিজের কাছের মানুষের সাথে পরামর্শ করে একজন ভালো গাইনী বিশেষজ্ঞ নির্বাচন করতে হবে। ডাক্তারের কাছে নিয়মিত যেতে হবে এবং নিজের সমস্যা গুলো শেয়ার করে সমাধান নিতে হবে।

ঢাকার সেরা গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা! ২০২৪

ডাক্তারের পরমার্শ অনুযায়ী নিয়মিত প্রয়জোনীয় ওষুধ সেবন-

অনেকেই ভাবেন যে ওষুধ খেলে বাচ্চার ক্ষতি পারে বা শরীরে মেদ বেড়ে যেতে পারে তাই ডাক্তারের দেয়া ওষুধ এড়িয়ে চলে যা বাচ্চার জন্য অত্যাধিক ক্ষতিকর। এই সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে এবং কোন অবস্থায়তেই চিকিৎসকের পরামর্শ  না নিয়ে বাড়তি ওষুধ সেবন করা যাবে না। গর্ভবস্থার প্রথম তিন মাস অবশ্যই ফলিক এসিড সেবন করতে হবে যা বাচ্চার ব্রেইন ডেভেলপমেন্টের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি বাচ্চার বৃদ্ধিতে এবং হাড় গঠনে সহায়তা করে।

সুষম খাদ্য গ্রহন-

এই সময়ে কিছুক্ষণ পর পরই অনেক ক্ষুধা লেগে যায়। ক্ষুধা লাগলেই মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে পেট ভরিয়ে ফেললে হবে না। আবার কোন খাবার অতিরিক্তও খাওয়া যাবে না। দুই ঘণ্টা পরপর পর্যাপ্ত পরিমান খাবার খেয়ে নিতে হবে। কিছু খাবার যেমন বাদাম জাতীয় খাবার, খেজুর, দুধ, ডিম ও ফল ইত্যাদি খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখা উচিত। প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট, আমিষ বা প্রোটিন, ফ্যাট বা স্নেহ জাতীয় খাদ্য, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার গর্ভবস্থায় না খাওয়াই ভালো ।

মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা-

এই সময়ে অবশ্যই অতিরিক্ত মানসিক চাপ এড়িয়ে চলতে হবে। মন ভাল রাখতে গান শুনতে পারেন, বই পরতে পারেন, হাসির মুভি দেখতে পারেন এবং গাছের পরিচর্যা করতে পারেন। নিজ নিজ ধর্ম নিয়মিত পালন মনকে শান্ত রাখে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক, ভয় ইত্যাদি গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর।

হালকা হাটাচলা করা ও বিশ্রাম নেয়া-

যারা চাকরিজিবী তাদের বসে থাকা কাজ হলে অবশ্যই কিছুক্ষণ পর পর হেটে নেয়া উচিত। যারা গৃহিণী তারা অবসর সময়ে জিরিয়ে নিবেন কিন্ত সারাদিন কাজের চাপ কম থাকলে সব সময় শুয়ে বসে না থেকে একটু হালকা হাটা হাটির অভ্যাস করে নিতে হবে। ঘুমের সময় বামকাত হয়ে ঘুমাতে হবে এতে বাচ্চা অক্সিজেন পায় পর্যাপ্ত পরিমানে। রাতে তারা তারি শুয়ে পরার অভ্যাস করতে হবে। দুপরে দুই ঘণ্টার জন্য বিশ্রাম নিয়ে নেয়া উচিত। বেশি পিচ্ছিল স্থানে হাঁটা যাবে না।

ঝুঁকিপুর্ন কাজ এড়িয়ে চলা-

যে কোন ধরনের ভারী কাজ, অতিরিক্ত ভ্রমন ও কীটনাশক বা বিষাক্ত পদার্থ থেকে নিজেকে সামলে রাখতে হবে। প্রয়োজনে কাজের ক্ষেত্রে অন্যের সহযোগিতা গ্রহন করতে হবে।

প্রথম ও শেষ তিন মাস বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা-

গর্ভবস্থায় প্রথম ও শেষ তিন মাস দৈহিক মিলন করা যাবে না। এই সময়টাতে খুবই সাবধানতার সাথে চলা ফেরা করতে হয়। গর্ভবতী নারীর জন্য এইসময়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কারন এসময়টায় গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে যৌন মিলনে কি গর্ভপাত হতে পারে?

গর্ভাবস্থায় কতদিন সেক্স করা নিরাপদ?

ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য পরিহার করা-

গর্ভাবস্থায় কোনো অবস্থাতেই ধুমপান করা যাবে না। অন্যকেউ ধুমপান করলেও সেখান থেকে সরে যেতে হবে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই এই সময়ে পরিহার করতে হবে।

শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে হবে-

নিয়মিত গোসল করার অভ্যাস করতে হবে। গর্ভাবস্থায় ঢিলে ঢালা ও আরাম দায়ক পোশাক পরিধান করতে হবে। সঠিক মাপের ও নরম জুতো পরতে হবে এবং কোন ভাবেই হিল জাতীয় জুতো পরা উচিত নয়। দুর্ঘটনা এড়াতে ও পরিচ্ছিন্ন থাকতে হাত-পায়ের নখ কেটে ছোট রাখা উচিত। ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাঁত ও মাড়ির বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এ সময়ে অতিরিক্ত ওজন বা স্বাভাবিকের তুলনায় কম ওজন দুটোই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কোষ্টোকাঠীন্য এড়িয়ে চলতে নিয়মিত সবজি খেতে হবে এবং প্রচুর পরিমানে পানি খেতে হবে।  

রোগ-প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-  

গর্ভকালে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চার থেকে আট মাসের মধ্যে অবশ্যই টিটেনাসের টিকা দিতে হবে। এ সময় ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত রোগী থেকে দূরে থাকতে হবে।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের সময় যা একেবারেই উপেক্ষা করবেন না

জেস্টেশনাল বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে যা একেবারেই উপেক্ষা করবেন না

Related Articles

Back to top button
error: