অনেকেই মলদ্বারের ব্যথায় ভুগেন। ফিশার মানে মলদ্বারে ঘা বা ফেটে যাওয়া। এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়। এক, তীব্র ফিশার হলে মলদ্বারে অসম্ভব ব্যথা হয়। দুই, দীর্ঘস্থায়ী ফিশারে ব্যথার তারতম্য হয়। এটি যে কোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে।
মলদ্বারে ব্যথার কারণ এবং কীভাবে ঘটে :
এটির জন্য দায়ী সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য বা মলত্যাগের সময় কোত দেয়া। এ ছাড়াও শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে ধারনা করা হয়। যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এমন সমস্যা কম হয়। কারণ আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, কাঁচা ফলমূল, আলু, ছোলা, ইসবগুলের ভূসি ইত্যাদি। এছাড়া ঘন ঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে এমনটি হবার আশংকা বেড়ে যায়।
উপসর্গ :
এনাল ফিশারের প্রধান লক্ষণ হল ব্যথা ও রক্তক্ষরণ। এ ধরনের ব্যথা কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘণ্টা ধরে ব্যথা চলতে পারে।
রক্তজমাট বাধা পাইলসেও ব্যথা হয়, কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে চাকা আছে বলে মনে করে। এই রোগে রক্তক্ষরণের পরিমাণ কম। তবে কারও অতিরিক্ত রক্ত যেতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) এনাল ফিশারের রোগী তাদের মলদ্বারে অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড, পুঁজ পড়া, চুলকানি অথবা এসব একত্রে হয়েছে বলে অভিযোগ করে।
এ ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ থাকতে পারে বা নাও পারে। ব্যথা সাধারণত তীব্র হয় না বা অনেক সময় ব্যথা থাকে না। ফিশারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্রাবের সমস্যায় ভোগে এবং মহিলারা কখনও শারীরিক মিলনে বেদনা অনুভব করেন।
তীব্র ব্যথা সম্পন্ন ঘা (একিউট ফিশার) :
এমন হলে মলদ্বার পরীক্ষা করলে দেখা যায় তা খুব সঙ্কুচিত অবস্থায় আছে। তীব্র ব্যথার কারণে মলদ্বারের ভেতরের ঘা দেখা কষ্টকর এবং যন্ত্রও প্রবেশ করানো যায় না। যদিও সরু যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা যায়।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সম্পন্ন ঘা (ক্রনিক ফিশার) :
এমন হলে একটি মাংসপিণ্ড বা ‘গেজ’ দেখা যায়। মলদ্বারের ভেতরেও একটি মাংসপিণ্ড দেখা যেতে পারে যাকে টিউমার বলে ভুল করা হয়। এ ফিশার সংক্রমিত হয়ে কখনও ফোঁড়া দেখা দিতে পারে এবং তা থেকে ফিস্টুলা (ভগন্দর) হয়ে পুঁজ হতে পারে।
প্রতিরোধ :
কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং কখনই বেশি শক্তি প্রয়োগ করে মলত্যাগ করা উচিত নয়। ঘন ঘণ মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ডায়রিয়ায় হলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে।
চিকিৎসা :
একিউট ফিশার হবার অল্পদিনের মধ্যেই চিকিৎসা করল বিনা অপারেশনে ভালো হবার সম্ভাবনা বেশি। ব্যথানাশক ওষুধ খেললে উপকার হয়। সিজ বাথ নিলেও উপকার হয়। এর নিয়ম হচ্ছে আধ গামলা লবণ মিশ্রিত হালকা গরম পানির মধ্যে নিতন্ব ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখা। ঐ স্থান অবশকারী মলম ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যায়। এতেও যদি পুরোপুরি না ঠিক হয় তবে অপারেশন ছাড়া ভালো হবার সম্ভাবনা কমতে থাকে।
সার্জিক্যাল চিকিৎসা :
মলদ্বারের মাংসপেশির সম্প্রসারণ করা (এনাল ডাইলেটেশন) পদ্ধতির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক সার্জন এর বিপক্ষে। এ পদ্ধতির জন্য কোনো কোনো রোগীর মল আটকে রাখার ক্ষমতা ব্যাহত হয়।
মলদ্বারের স্ফিংটারে অপারেশন :
এই অপারেশনে মলদ্বারের অভ্যন্তরীণ স্ফিংটার মাংশপেশিতে একটি সূক্ষ্ম অপারেশন করা হয়। অজ্ঞান করার দরকার হয় না। দুই দিনের মধ্যেই রোগী বাড়ি ফিরে যেতে পারে। এবং অপারেশনের তিনদিন পর স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে।
- ঘরে তৈরি মজাদার চকোলেট ব্রাউনি রেসিপি
- স্কলারশিপের সকল ওয়েবসাইট লিঙ্ক
- জেস্টেশনাল বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে যা একেবারেই উপেক্ষা করবেন না
- ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের সময় যা একেবারেই উপেক্ষা করবেন না
- গর্ভকালীন সময়ে কতদিন সেক্স করা নিরাপদ?
- ঢাকা বাংলাদেশের সেরা ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
- ঢাকা বাংলাদেশের সেরা ত্বক বিশেষজ্ঞ বা চর্ম রোগ ডাক্তার
- ঢাকা বাংলাদেশের সেরা অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
- ঢাকা বাংলাদেশের সেরা ব্রেষ্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
- ঢাকা বাংলাদেশের সেরা ব্রেষ্ট সার্জন বা স্তন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার