সরকারি চাকরি ছাড়া বাংলাদেশে কোন চাকরি নেই!
বেকারত্বের হার বাংলাদেশে যে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। প্রতি বছরই নতুন নতুন বেকার আনফিসিয়ালি তালিকাভুক্ত হচ্ছে বেকারত্তের খাতায়। কিন্তু এই বেকারত্তের কারন কি? আর বেকারত্ত টাই বা কি? বেকাররা কি খালি খায় দায় আর ঘুমায়? এই যেমন যারা সদ্য গ্রাজুয়েশান করে বের হয়েছে এবং শহরে চাকরির আসায় সিট ভাড়া করে থাকছে তাদের দৈনিক খরচের জোগান দেবার জন্য অবশ্যই টিউশানি বা পার্টটাইম কোন চাকরি করতে হয় আবার যারা পরিবারের সাথে থাকে তাদেরকে বাড়ির সকল কাজ কর্ম যেমন বাজার করা, কারেন্ট বিল দেয়া, সকলের দেখাশুনা করা সহ সকল কাজেই অংশীদার হতে হয়। আর সবচেয়ে কমন যেই বিষয়টি তা হল সদ্য গ্রাজুয়েট যেখানেই থাকুক চাকরির ব্যাপারে জবাবদিহিতা সব জায়গায়ই শুনতে হয়। পরিবার বলে, এত জায়গায় ইন্টার্ভিউ দেয়ার পরও চাকরি হচ্ছে না কেন?, বন্ধুদের কাছ থেকে শুনতে হয়, চাকরি হয়েছে কোথাও?, আর অপরিচিতদের কাছ থেকে শুনতে হয়, কোথায় চাকরি করছেন? চাকরি হলেও কিন্তু জবাবদিহিতা থেকে মুক্তি নাই, কারন তখন শুনতে হবে বিয়ে করবেন কবে? বিয়ের পর শুনবেন, বাচ্চা নিবেন কবে? বাচ্চা নেবার পর শুনবেন, জমি করছেন কোথায়?, এভাবে চলতেই থাকবে।
সরকারি চাকরি বনাম বেসরকারি চাকরি
ইউনিভারসিটি থেকে পরা অবস্থা থেকেই কারও ইচ্ছে থাকে সরকারি জব করবে তাই তখন থেকেই তারা প্রিপারেশান শুরু করবে, কারও ইচ্ছে থাকে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করবে, আবার কেও দেশেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জব করবে সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাবসা করাটা একটু কম মানুষের মাথায় কাজ করে কারন এই খেত্রটা খুব একটা সহজ নয় আবার খুব একটা কঠিনও নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরা অবস্থা থেকেই সকলেরই তার নিজস্ব বিষয়ের প্রতি একটা গভীর ভালবাসা জন্ম নেয়। যদিও আমাদের সরকারি শিক্ষা ব্যাবস্থায় যে ডাক্তার হতে চায় সে হয়ত নাট্য কলার কোন বিষয়ে সুযোগ পায় আবার যে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সে হয়ত কোন সামাজিক বিষয়ে সুযোগ পায়। যার সামর্থ্য আছে সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার স্বপ্নপুরনের প্রথম অধ্যায় শুরু করে আর যার অতিরিক্ত সামর্থ আছে সে দেশের বাহিরে পারি দেয়।
যাই হোক বেশিরভাগই তার স্বপ্ন অনুযায়ী বিষয় পায় না গ্রাজুয়েশানের সময় যার ফলে তখনই সে অজান্তেই জীবন যুদ্ধে অনেক ধাপ পিছিয়ে যায়। আর যারা সরকারি চাকুরীর স্বপ্ন দেখে তখন থেকেই বুঝে অথবা না বুঝে মুখস্ত বিদ্যায় অংশ নেয়। এই ক্ষেত্রে কিন্তু কিছু কমন বিষয় মেনে চললেই চাকুরী নিশ্চিত। যেমন সরকারী চাকুরী পেতে হলে আপনি বাথরুমে যাওয়া ছাড়া সময় নষ্ট করতে পারবেন না, সিলেবাস অনুযায়ী চলতি জনপ্রিয় বই গুলি মগজে সংরক্ষন করতে হবে চাকরি না পাওয়া অব্দি এছাড়াও কোন দেশের কে কবে কোথায় কি করেছেন তাও ভুলে গেলে চলবে না। যাই হোক এই মুখস্ত বিদ্দ্যার সাগর পারি দিয়ে যারা সরকারী চাকুরী পান তারা সোনার মুকট পেয়েছেন বলে দাবি করেন আর সকলকে উৎসাহ দেন যেন তারাও এই সৌভাগ্যের অংশীদার হয়। সকলেই স্থায়িত্ব চায় কারন জীবনের এক পর্জায়ে যেয়ে পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তা খুবই জরুরী। সরকারী চাকরির স্থায়িত্ত ও নানাবিধ বিশেষ সুবিধার কারনে এই সেক্টর বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। কিন্ত তার মানে এই নয় যে সরকারী চাকুরী ছাড়া আর কোন চাকরি বাংলাদেশে নেই। চাকরি আছে কিন্তু সেখানেও লবিং এখন জনপ্রিয় একটা শব্দ। আসলে চাকরি দাতার ঘরেই তো চাকরি প্রার্থীর অভাব নেই।
মেধা বনাম কাজ
আবার মেধার যুদ্ধে মেধাবীর অভাবও কম নয়। লবিং এর কারনে মেধার চর্চা কম হয় তাও আবার সত্যি নয়। এত্ত মেধা আর প্রতিযোগিতার ভিড়ে যোগ্যতা যাচাই হয় ঠিকই কিন্তু তা খুবই অল্পসংখ্যক। প্রতি বছরই নতুন নতুন বেকার তৈরি হচ্ছে কিন্তু এত বেকারের কর্মসংস্থানের জন্য অবশ্যই নতুন নতুন সংস্থা তৈরি হচ্ছে না। কাজের অভাব নেই কিন্তু স্বীকৃতির অভাব অবশ্যই আছে। প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছুই দিয়ে যাচ্ছে সহজ জীবন যাপনের জন্য। ফ্রিল্যান্সার, ইউটুবার, ব্লগার, রাইটার ইত্যাদি সাম্প্রতিক সময়ের কিছু জনপ্রিয় প্রফেশান যেখানে নিজের মেধাকে নিজের মত করে পরিচয় করান যায়। এছাড়াও অনলাইন মার্কেটিং, ইন্টারনেট মার্কেটিং, ই-কমার্স ইত্যাদি তো রয়েছেই। একজন উদ্যোক্তা অথবা ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী অবশ্যই অসাধারন সাহসিকতার পরিচয় দেয় সকলক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করে। সংক্ষেপে বলব যে, যারা নতুন গ্রাজুয়েশান করে বের হয়েছে তাদের বেকার শব্দকে ঠাই দেয়াই উচিত নয়। সরকারী চাকরি করবার ইছে থাকলে অবশ্যই গর বাঁধা পরা শুনায় মন দিতে হবে, উচ্চ শিক্ষার ইচ্ছে থাকলে দেরি না করে আই ই এল টি এস দিতে হবে আবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এন জিও অথবা আই এন জিও তে চাকরি করবার ইচ্ছে থাকলে সাথেই সাথেই ঢুকে যেতে হবে কিন্তু কোন ভাবেই সময় কে অবহেলা করা যাবে না এবং বেকার শব্দের স্থায়িত্ত ঘটানো যাবে না। অর্থ উপার্জনের জন্য অসংখ্য উপায় রয়েছে এই ডিজিটাল যুগে তাই নিজের উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। সাফল্য ধরা দিতে বাধ্য।
- স্তন ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ১১টি প্রধান কারণ
- ঢাকার সেরা নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা
- খুলনার সেরা নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা