আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুর দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রেম করছেন। এমনকি তারা কোয়ারেন্টিনের দিনগুলিতেও এক ছাদের নীচে কাটিয়েছেন। রণবীরের বাবা ঋষি কাপুর গত দুই বছর ধরে লিউকেমিয়ায় ভুগছিলেন। গত বছর ঋষি কাপুরকে দেখতে আলিয়া নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যেও যাত্রা করেছিলেন। সে সময় ১১ মাস ১১ দিনের চিকিৎসার পরে তিনি বাড়ি ফিরেন এবং আলিয়া নিয়মিত সেখানে যেতেন খোঁজ খবর নিতে।
কথা ছিল, ঋষি কাপুর সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাট বিয়ে করবেন। তবে করোনার কারণে বিয়ে পিছিয়ে যায়। এরই মধ্যে লকডাউনের সময় ঋষি কাপুর মারা গেলেন। আলিয়া ভাট ৬৭ বছর বয়সী ঋষি কাপুরের শেষকৃত্যে নিতু কাপুরকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন, এমন একটি দৃশ্য যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। রণবীর কাপুরের বড় বোন, ফ্যাশন ডিজাইনার ঋদ্ধিমা কাপুর দিল্লি থেকে মুম্বই আসতে পারেননি, আলিয়া ভিডিওর মাধ্যমে তাকে বাবার শেষ আনুষ্ঠানিকতা দেখিয়েছিলেন। আলিয়া এই কঠিন সময়ে একজন ‘গৃহিণী’ মতই এর সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। দিন শেষে, তিনি ইনস্টাগ্রামে তার ভবিষ্যতের শ্বশুরকে একটি খোলা চিঠি লিখেন:
‘এই সুদর্শন মানুষটাকে নিয়ে আমি কী বলব! তিনি আমার জীবন অনেকটাই ভালোবাসা আর মঙ্গল কামনায় ভরে দিয়েছেন। আজ সবাই একজন কিংবদন্তি ঋষি কাপুরকে নিয়ে কথা বলছেন। আমি বলব একজন মানুষের কথা, যিনি দুই বছর ধরে আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। বন্ধু হয়ে, সিনেমাপ্রেমিক হয়ে, যোদ্ধা হয়ে, পথপ্রদর্শক আর বাবা হয়ে। তিনিও আমার মতোই চাইনিজ খাবার খেতে খুবই ভালোবাসতেন। আর ভালোবাসতেন টুইট করতে। দুই বছর ধরে তিনি আমাকে যত ভালোবেসেছেন, আমি উষ্ণ আলিঙ্গনের মতোই বাকি জীবন তাঁর ভালোবাসা মিস করব। বিশ্বকে ধন্যবাদ, এমন একজন মানুষকে দুবছর আমার জীবনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার জন্য। তিনি আমার পরিবারের মতোই। আমি বাকি জীবন আপনার শূন্যস্থান অনুভব করব।
সূত্র: প্রথম আলো
ঢাকা বাংলাদেশের সেরা ১৫ গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার