স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

শুরু হল ফাইজারের টিকা দেয়া, যারা পাবেন এই টিকা !

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে। ২১ জুন রাজধানীর মোট তিনটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। প্রতিদিন ১২০ জনকে দেয়া হবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। যারা আগে থেকে নিবন্ধন করে ছিলেন, কিন্তু টিকা দিতে পারেননি তারা এই টিকা দিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

যেসব কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।

টিকা দেয়ার পর এক সপ্তাহ টিকা গ্রহীতাদের ওপর এই টিকার প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর মূল্যায়নের করে সেকেন্ড-রান বা গণটিকা প্রদান শুরু হবে। গণটিকা যখন শুরু হবে তখন হাসপাতালের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। যিনি প্রথম ডোজ হিসেবে এই টিকা পাবেন তাকে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবেও এই টিকাই দেয়া হবে।

কোভ্যাক্স থেকে দেশে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এর আগে সরকার ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। কিন্তু টিকার ঘাটতির কারণে ২৬ এপ্রিল সরকার প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধ করে। এর সপ্তাহখানেক পর সারাদেশের সবগুলো কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয় স্বল্পতার কারণে।

ভারত সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হলে বালাদেশের টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হয়। সেরাম থেকে বাংলাদেশের তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল ছয় মাসের মধ্যে।

জানুয়ারিতে সেরাম প্রথম দফায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেয়। কিন্তু মাত্র ২০ লাখ ডোজের একটি চালান ঢাকায় পৌঁছায়। এরপর সেরাম থেকে বাংলাদেশে আর কোনো চালান আসেনি টিকার।

গত ১২ মে বাংলাদেশকে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেয় চীন। এরপর এই টিকা মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের দেয়া শুরু করা হয়। গত ১৩ জুন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজ চীন থেকে আরো ছয় লাখ ডোজ সিনোফার্মার টিকা দেশে আনে। শনিবার থেকে এই টিকাও দেয়া শুরু হয়।

এরপর গত ৩১ মে বাংলাদেশে এক লাখ ছয় হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা পৌঁছায়। ঢাকার তিনটি টিকাকেন্দ্রে এগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

Related Articles

Back to top button
error: