তথ্য প্রজুক্তি

ইউটিউব থেকে আয়ের সকল খুঁটিনাটি ও অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট

ইউটিউব থেকে আয়ের সকল খুঁটিনাটি ও অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেকেই এখন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

কারণ এখানে রয়েছে ব্যাক্তি স্বাধীনতা ও নিজের পছন্দমত কাজ করবার সুযোগ। মহিলারাও চলছেন এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে। নারী পুরুষ ভেদাভেদ এখানে একদমই অনুপস্থিত।

যে যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী টিকে থাকেন এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে। এখন ঘরে বসেই দক্ষ ব্যাক্তি নিজের পরিচয় মেলে ধরছেন সারা বিশ্বের কাছে। ইউটিউব এমনই একটি প্লাটফর্ম যেখান থেকে আয় করা যায় কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই।

ইউটিউব অ্যাকাউন্ট

প্রথমে ইউটিউব এর একটি অ্যাকাউন্ট খূলে ফেলুন। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনি যেই বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে চান সেই বিষয় ভিত্তিক চ্যানেলের নাম নির্বাচন করুন।

এরপর নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে থাকুন এবং চ্যানেলটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে ফেলুন। প্রথমেই ভিউ বা সাবস্ক্রাইবার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরবেন না।

তবে ভালো মানের এবং সময় উপযোগী ভিডিও আপনার ভিউ বাড়তে সাহায্য করবে। আপনি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি প্লাটফর্মে নিয়মিত ভিডিও শেয়ার করতে থাকুন।

অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ও মানিটাইজেশন

ইউটিউব থেকে আয় করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আপনার জিমেইল ঠিকানা দিয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

এরপর আপনার চ্যানেলটা অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যোগ কোরতে হবে। চ্যানেল থেকে আয় বা মানিটাইজেশনের ক্ষেত্রে ইউটিউবের কিছু শর্ত আছে।

আপনার চ্যানেল এর চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম (মোট ভিডিও দেখার সময়) এবং এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকলে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট যুক্ত করবার আবেদন অনুমোদন হবে।

এরপর গুগোল আপনাকে ই-মেইলে জানাবে যে আপনার অ্যাকাউন্ট বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য উপযুক্ত এবং আয়ের যোগ্য এবংতারপর থেকে আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন আসা শুরু হবে।

ভালো মানের ভিডিও

বেশি ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের এবং সময় উপযোগী ভিডিও আপলোড করতে হবে। ভিডিও ভালো না হলে দর্শক ফেরত আসবে না আর ভিউ বাড়বে না। আপনার সুন্দর উপস্থাপনা, শব্দ (অডিও), ছবির মান এ সব কিছু মিলিয়েই দর্শক আপনার কনটেন্টের গুনাগুন যাচাই করবে।

ভিউ, বিজ্ঞাপন ও মাসিক আয়

ভিউ, বিজ্ঞাপন ও মাসিক আয় একে অপরের সাথে জড়িত। আপনার ভিউ বেশি হলে বিজ্ঞাপন বেশি হবে আর বিজ্ঞাপন যত বেশি আয় তত বেশি। আপনি চাইলেই বিজ্ঞাপন আনতে পারবে না কারন বিজ্ঞাপন ইউটিউব কর্তৃপক্ষই নির্বাচন করে দেয়।

টাকা আয় করবেন যেভাবে

অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে আয়ের অর্থ তোলার জন্য সেখানে কমপক্ষে ১০০ ডলার জমা হতে হবে। এই পরিমান ডলার অতিক্রম করলে অ্যাডসেন্স থেকে আপনাকে একটি ই-মেইল পাঠানো হবে।

দুই ভাবে টাকা উঠানো যাবে। প্রথমত গুগল আপনার অ্যাকাউন্টে দেয়া ঠিকানা যাচাই করবে। আপনার ঠিকানায় গুগল থেকে একটা চিঠি পাঠানো হবে যে চিঠিতে একটি গোপন নম্বর থাকবে। ওই নম্বর অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে বসানোর পর আবার একটা ফরম পূরণ করতে হবে।

ওই ফরমে আপনি যে ব্যাংকে টাকা আনবেন সেই ব্যাংকের তথ্য দিতে হবে। আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয়, তাহলে ব্যাংকের তথ্যটা বাবা বা মায়ের নামে দিতে হবে।

অ্যাডসেন্সের ফরমটা যে নাম দিয়ে পূরণ করবেন আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্টটাও অবশ্যই সেই নামে হতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের নামটাও একই হতে হবে।

যদি নাম না মিলে তাহলে আপনি টাকা উঠাতে পারবেন না। এরপর সব ঠিক থাকলে আপনার ব্যাংকে টাকা আসা শুরু করবে।

বয়স বাড়লেই কি ওজন বাড়ে?

সুন্দর ত্বক পেতে যা করবেন! উজ্জ্বল ত্বকের ১০টি জাদুকরী প্রাকৃতিক উপাদান

ওজন কমাতে আদার শরবত (এক সপ্তাহেই ওজন কমিয়ে ফেলুন)

ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি, ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়, ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল, ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম, ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়, ইউটিউব থেকে আয় ২০২১, ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়, ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়

Related Articles

Back to top button
error: