করোনাভাইরাস রোগীর ঘরোয়া চিকিৎসা, করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়. কোভিড-১৯ | কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তির হালকা উপসর্গ থাকলে ঘরে বসেই তিনি নিজের চিকিৎসা করতে পারেন। COVID-19 উপসর্গ যেমন জ্বর, কাশি, গলাব্যাথা, বিষন্নতা, সর্দি, পাতলা পায়খানা হলে কিছু সাধারণ চিকিৎসা করে ঘরেই সুস্থ হয়ে উঠুন। এগুলি আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত, এটি অনুসরণ করার আগে দয়া করে একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
**তবে যদি শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তবে দ্রুত ভেন্টিলেটর এর ব্যবস্থা আছে এমন হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
– প্রথমেই নিজেকে আলাদা করে নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুরক্ষিত রাখুন এবং ঘরে থাকুন। পরিবাবের অন্যান্যদের থেকে আলাদা থাকুন, আলাদা বিছানায় ঘুমান। ব্যবহার্য ফার্নিচার, মেঝে, বাথরুম এবং টয়লেট জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
– সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন, ঘন ঘন হাত সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হাঁচি বা কাশির সময় নাক ও মুখ টিস্যু বা রুমাল দিয়ে ঢেকে নিন এবং তা পরে ফেলে দিন বা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। নিজের ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন থালা বাসন, তোয়ালে, বিছানাপত্র আলাদা করুন।
– এই ভাইরাসটি লিভার, কিডনি, ফুসফুস এবং শ্বাস প্রশ্বাসের ট্র্যাক্টগুলিতে আক্রমণ করে। তবে ফুসফুসের সংক্রমণ সবচেয়ে খারাপ তাই গরম জলের চিকিৎসা, গরম স্যুপ এবং ফুসফুস অনুশীলনের সাহায্যে সুরক্ষিত থাকুন।
– বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে, ফুসফুসে বাতাস নিয়ে, বাতাস ধরে রাখুন। ফুসফুসে প্রতিবার ১০-২০ সেকেন্ডের জন্য বাতাস ধরে রাখুন। এই অনুশীলনের পুনরাবৃত্তি করুন। দিনে ৩-৪ বার অনুশীলনটি করুন।
– ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমন লেবু, কমলা, মালটা, টমেটো, জাম্বুরা বা ভিটামিন সি ট্যাবলেট খান।
– দিনে দুইবার গরম পানিতে গোসল করে নিন এবং গরম পরিবেশে থাকুন।
– দিনে তিনবার নুন দিয়ে গার্গল করুন।
– আদা দিয়ে তিন থেকে চার বার লেবু চা খান।
– দু’বার গরম জলের বাষ্প নিন।
– স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইনে যোগাযোগ করুন। করোনার লক্ষনে যে সকল নম্বরে যোগাযোগ করবেন।
**এই চিকিৎসা পদ্ধতি বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহিত তাই এটি অনুসরণ করার আগে দয়া করে একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- করোনাভাইরাস কতটা মারাত্মক?
- করোনা ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
- করোনার লক্ষনে যে সকল নম্বরে যোগাযোগ করবেন