স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা – গর্ভকালীন ডায়েট চার্ট

4 মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকা, ১ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, গর্ভবতী মায়ের কোন খাবার খাওয়া যাবে না, ৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, ৬ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা ছবি।

অতিরিক্ত কম ওজন বা বাড়তি ওজনের কারণে গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর তাই দরকার যথাযথ গর্ভকালীন খাবারের তালিকা। গর্ভধারণের সময়কে সাধারণত তিনটি ত্রৈমাসিকে ভাগ করা হয় যেখানে ০ থেকে ১৩ সপ্তাহকে বলা হয় ১ম ত্রৈমাসিক, ১৪ থেকে ২৬ সপ্তাহ সময়কে বলা হয় ২য় ত্রৈমাসিক এবং ২৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ সময়কে বলা হয় শেষ অর্থাৎ ৩য় ত্রৈমাসিক। প্রথম ত্রৈমাসিকে ক্যালরি পর্জাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলেও পরবর্তী দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রতিদিন অন্তত অতিরিক্ত ৩০০ ক্যালরি ও ৪৫০ ক্যালরির বাড়তি খাবার গ্রহণ করতে হয়।

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে যৌন মিলনে কি গর্ভপাত হতে পারে?

গর্ভধারণের প্রথম দিকে গর্ভপাত হবার কারণ ও গর্ভপাতের উপসর্গ

গর্ভপাত প্রতিরোধ করার উপায় জেনে নিন

গর্ভধারণের আগে গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে যা করবেন

গর্ভকালীন সেক্স প্ল্যানিং কেমন হবে?

গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকা-

এখানে উদাহরণসরূপ কিছু আদর্শ খাবার রুটিনের কথা বলা হয়েছে। তবে আপনি অবশ্যই আপনার বয়স, শারীরিক অবস্থা, ওজন ইত্যাদি বিবেচনা করে ভাল ডায়েট সাজেশন আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেবেন।                 

সকালে – 

গর্ভকালীন সময়ে সকালে অনেকরই খেতে ইচ্ছে করেনা এবং বমি বমি লাগে। সেক্ষেত্রে খালি পেটে কোন ভারী খাবার না খেয়ে হালকা চা (গ্রিনটি)ও বিস্কিট খেয়ে নিতে পারেন ।খানিকটা পরেই খেতে পারেন ২ টি রুটি ও সবজি এবং সাথে একটি ডিম সিদ্ধ। এছাড়া সকালে খেতে পারেন খেজুর কারণ এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতা রোধে সাহায্য করে। বেলা ১০ টা/ ১১ টায় খেতে পারেন ১ গ্লাস ননী ছাড়া দুধ বা ফল বা ফলের জুস ও বাদাম ।

দুপুরে – 

গর্ভবতী মা দুপুরের খাবারে ১ বাটি ভাতের সাথে খেতে পারেন মাছ বা মাংস, সবজির তরকারী, শাক, ডাল এবং তাজা ফল ও সবজির সালাদ। খাওয়ার শেষে খেতে পারেন দই। আয়রন শোষণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পাশাপাশি খেতে পারেন ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমন আমলকি,কমলা বা লেবু খেতে হবে।

বিকালে – 

তৈলাক্ত নাস্তার বা ভাঁজা-পোড়া খাবার না খেয়ে ঘরে তৈরি কোন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স বা কেক বা বাদাম বা মটরশুঁটি সিদ্ধ খেতে পারেন। ফল বা ১ গ্লাস ফলের জুস খেতে পারেন।এছাড়া খেতে পারেন চিকেন সুপ, দুধ ও বাদাম/পপকর্ন, মিক্স ফল বা ছোলা-মুড়ি বা সালাদের যেকোনো একটি।

রাতে – 

রাতের খাবার অনেকটা দুপুরের মতোই হবে। শাক রাতে না খাওয়াই ভালো। বেশি করে সবজির তরকারী খেতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ গ্লাস দুধ খেতে পারেন। রাতে শর্করাযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেতে চেষ্টা করবেন। এসিডিটির সমস্যা এড়াতে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলতে হবে।

যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্ত চাপের মত সমস্যা আছে তারা ডাক্তারের দেয়া তালিকা অনুযায়ী খাবার খাবেন। ডায়েবেটিসের রোগীরা শর্করা ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে যেতে হবে এবং ব্লাড প্রেশারের রুগীদের লবণ খেতে হবে কম করে।   

Related Articles

Back to top button
error: