সর্দি-কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত, সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়, নাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায়, নাকের সর্দি কমানোর উপায়, সর্দি কাশি হলে কি খাওয়া উচিত না, অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব, জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম, সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত
স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ, অনুশীলন এবং একটি ভালো ঘুম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। পেশাগতভাবে, প্রতিটি দিন আমাদের জন্য সবকিছুই বেশ কঠিন হয়ে উঠছে যার ফলে পরিশ্রমের কারণে অনেক সময় সর্দি হতে পারে।
এ রকম পরিস্থিতিতে ওষুধ এর পাশাপাশি আমাদের ডায়েটে কিছু প্রাকৃতিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করাও গুরুত্বপূর্ণ যা ঠান্ডা লাগার সাথে আরও ভাল লড়াই করতে সহায়তা করে। যদিও ওষুধের সাহায্য ছাড়াই ঠান্ডা লাগা বা সর্দি, ক্রমাগত শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, বন্ধ নাক, ভারী মাথা, মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পেতে মাত্র সাত দিন সময় লাগে। এখানে কয়েকটি সাধারণ ঠান্ডাকালীন প্রতিকারের উপর নজর দেওয়া হয়েছে যা আপনাকে আরও ভাল বোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
Home remedies for cold – সর্দি কাশি, ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তি চান? তবে ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়
জ্বর সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় – ঔষধ ও চিকিৎসা
সর্দি-কাশি, ঠান্ডা জনিত সমস্যার ঘরোয়া প্রতিকার
১. আদা চা
গরম, বাষ্পযুক্ত এবং আদা চা ছাড়া আর কিছুই আমাদের স্বস্তি দেয় না! মাসলা চা বা আদা চা গলায় আরাম পাবার দুর্দান্ত উপায়। আদা শ্লেষ্মা ঝিল্লির প্রদাহকে কমিয়ে দেয় যা অনুনাসিক প্যাসেজগুলি এবং সাইনাস গহ্বরকে সীমাবদ্ধ করে। আপনি সতেজতা বোধ করতে আপনার চায়ের মধ্যে তাই আদা যোগ করতে পারেন।
২. হাইড্রেটেড থাকুন:
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি হ’ল শীত পড়ার সময় হাইড্রেটেড থাকা দরকার। পানি, জুস, স্বাদযুক্ত স্যুপ বা হালকা গরম লেবুর পানি সাথে অল্প মধু এবং আদা পানি ঠান্ডা জনিত সমস্যা হ্রাস করতে সহায়তা করে এবং পানিশূন্যতা রোধ করে। এছাড়াও, অ্যালকোহল, কফি এবং এরিটেড পানীয়গুলি এড়িয়ে চলুন যা ডিহাইড্রেশনকে আরও খারাপ করতে পারে।
৩. গরম বাষ্প:
ইউক্যালিপটাস বা টি ট্রাই অয়েলের কিছু ফোঁটা বা উভয় সংমিশ্রণের সাথে একটি গরম বাষ্প কেবল আপনার বন্ধ নাকই খুলবে না, আপনার মুখেও প্রয়োজনীয় বাষ্প দেবে।
৪. উষ্ণ পানিতে কুলি:
প্রতি কয়েক ঘন্টা পরে হালকা গরম পানিতে অল্প লবন দিয়ে গার্গল করুন। এটি আপনার গলায় অস্থায়ী স্বস্তি এনে দেয়। চা বা মধু গরম পানিতে মিশিয়েও এটি করতে পারেন।
৫. ভিটামিন সি:
ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন কারণ এটি বিশেষত ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবুর পানি, কমলা, আঙ্গুর, শাকসবজি, ফল এবং শাকসব্জী ভিটামিন সি এর তাজা লেবুর রস ও মধু গরম চায়ে যোগ করার ফলে কফ কমে যায়।
- বাংলাদেশে প্রথম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরী দুগ্ধ খামার
- বেশি সময় ধরে ওজন বেশি থাকলেই কি রোগের ঝুঁকি বেশি?
সর্দি-কাশি হলে কি খাওয়া উচিত
সর্দি বা কাশি এবং ঠান্ডার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আরও কিছু সহজ ও কার্যকর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। শীতকালে এগুলো বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। নিচে আরও কিছু ঘরোয়া টোটকার উল্লেখ করা হলো:
১. গরম দুধে হলুদ মেশানো
- হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা সর্দি বা কাশি এবং ঠান্ডার সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে ঠান্ডা থেকে দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।
২. আদা দিয়ে চা পান
- আদা-চা কফ বের করতে এবং ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এটি শ্বাসনালিকে পরিষ্কার রাখে এবং অনাক্রম্যতা বাড়ায়। নিয়মিত আদা চা পান করলে ঠান্ডার সমস্যা দ্রুত দূর হতে পারে।
৩. মধু, লেবু ও দারচিনির মিশ্রণ
- লেবু, মধু ও দারচিনির মিশ্রণ সর্দি কাশি কমাতে কার্যকর। আধ চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবু এবং অল্প দারচিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার পান করলে ঠান্ডার সমস্যা দ্রুত সেরে ওঠে।
৪. গরম জলের বাষ্প নেওয়া
- গরম জলের বাষ্প শ্বাসনালির বন্ধ ভাব দূর করতে এবং সাইনাসের চাপ কমাতে সহায়তা করে। এর মধ্যে ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।
৫. চিকেন স্যুপ খাওয়া
- চিকেন স্যুপ ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা কমাতে উপকারী। এতে শ্বেত রক্তকণিকা নিউট্রোফিলের কার্যকারিতা কমায়, যা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সবজির সাথে মুরগির স্যুপ নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
এই ঘরোয়া টোটকা নিয়মিত মেনে চললে সর্দি কাশির সমস্যা দ্রুত উপশম হতে পারে এবং শরীর ঠান্ডা লাগার প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারে।