পৃথিবীর অন্যান্য দ্বীপের তুলনায় মালদ্বীপের ভাধু দ্বীপে রাতের অন্ধকারে দেখা মেলে এক অবিশ্বাস্য ও আশ্চর্যজনক দৃশ্য। এখানে দেখা মেলে জ্বল জ্বল সমুদ্র তীরের। দ্বীপটি তার এই বিস্ময়কর সমুদ্রের কারণে খুবই জনপ্রিয় এবং “তারার সমুদ্র” বা “সি অফ স্টারস” নামেও পরিচিত।
দ্বীপটি অত্যাধিক ছোট যেখানে শুধুমাত্র ৫০০ মানুষ বাস করে কিন্তু তার সৌন্দর্য বর্ণনা অসীম।
উজ্জ্বল নক্ষত্র রাতে এই সমুদ্র তীরের প্রদীপ্ত জলরাশি একটি আশ্চর্যজনক মনোরম দৃশ্য তৈরি করে। মনে হবে যেন আকাশের নক্ষত্রগুলোকে প্রতিফলিত করার জন্য এই সমুদ্র তীর আয়নার ভুমিকা পালন করছে।
বিস্ময়কর দৃশ্যের জন্য দায়ী হল সামুদ্রিক অণুজীব, ফায়টোপ্ল্যাঙ্কটন যা ডাইনোফ্ল্যাগেলেট নামে পরিচিত। তারা বায়োলুমিনেসেন্ট প্ল্যাঙ্কটন ও বলা হয়। বায়োলুমিনেসেন্স হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীব দেহে আলো তৈরি ও নির্গমন হয়। বায়োলুমিনেসেন্স প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই জ্বলজ্বলে নীল ঢেউ জৈবিক আলো তৈরি করে। বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক প্রাকৃতিক আলো সৃষ্টি হোয় এখানে এবং এই স্থানটি হানিমুনের জন্য সর্বোত্তম জায়গা।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর উডল্যান্ড হেস্টিংস সর্বপ্রথম এই আলো তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে অণুজীব কোষের ঝিল্লিতে একটি বিশেষ চ্যানেল রয়েছে যা বৈদ্যুতিক সংকেতগুলির বিপরীতে সাড়া দিতে পারে। জ্বল জ্বল এই ফায়টোপ্ল্যাঙ্কটন এককভাবে দেখা যায় না কিন্তু যখন তারা একসঙ্গে প্রদীপ্ত হয় তখন দেখা যায়।
অনেক পর্যটক এই বিস্ময়কর দৃশ্য উপভোগ করতে সেখানে সমুদ্রের কাছে যান। তারা স্বচ্ছ পানিতে উজ্জ্বল নীল আলোর একটি সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করে যা আকাশে চমকপ্রদ তারকার মত অনেকটা।