হঠাৎ জানা গেল ঢালিউড তারকা মাহিয়া মাহির বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। শনিবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি নিজেই সেটা প্রকাশ করেছেন।
২২ মে রাত একটার দিকে মাহি তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ” এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সাথে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যার্থতা।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুর বাড়ির মানুষগুলোকে আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়াটা, বাবার মুখ থেকে মা জননী , বড় বাবার মুখ থেকে সুনামাই শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সবচেয়ে বড় অপারগতা। আমাকে মাফ করে দিও ।তোমরা ভালো থেকো। আমি তোমাদের আজীবন মিস করবো।”
ফেসবুক পোস্টে তার স্বামী অপু লেখেন, ‘একটি সম্পর্ক গড়তে গেলে যেসব গুণ থাকে সেগুলো হলো সততা, ওয়াদা, বিশ্বস্ততা, বন্ধুত্ব, দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা, বোঝার ক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও ভালোবাসা, নিজস্ব বিশ্বাস ইত্যাদি। আর সম্পর্ক হওয়ার পর সেটা পরিবর্তিত হতেই পারে, আমরা বেঁচে আছি সম্পর্ক নিয়ে সম্পর্কের বন্ধনে বন্দি হয়ে। আবার সম্পর্ক কখনো শেষও হয় না, শুধু পরিবর্তিত হয় ।বিচ্ছেদ যে কোনও সম্পর্কে যে কোনও সময় আসতে পারে। যে কোনও বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক কিন্তু প্রত্যেক মানুষের নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা রয়েছে। আর এতে করে তিনি/তারা নিজের মতো করে ভালো থাকতেই পারেন।’
অপু আরও লিখেন, ‘আমাদের বাঙালি সমাজ এখনও সেভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাই তো ডিভোর্স কথাটা শুনলেই অনেকেরই কান ভোঁ-ভোঁ করে ওঠে। এই কারণেই ডিভোর্সির দিকে কপাল কুঁচকে তাকানোটাই এই সমাজের একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পর্ক তৈরি করার মতন, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাও খুব স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে অনুভূতির সংকোচন, সম্প্রসারণ হতেই পারে। একসাথে থাকতে না চাওয়ার কারণ জন্মাতে পারে। ভাল না-ও লাগতে পারে। বিশেষ কোনও কারণে আলাদা হওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। আবার কেউ কেউ মানিয়ে নিয়েও বেঁচে থাকেন। দুজন মানুষের ভেতর আভ্যন্তরীণ বনিবনা না হলে, একসাথে থেকে তিক্ততা বাড়ানোর কোন মানেই হয় না।’
সকলকে অনুরোধ জানিয়ে অপু লেখেন, ‘আশা করছি, আমাদের পরিচিতজন-শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাদের এই সিদ্ধান্তকে পজিটিভভাবে গ্রহণ করে আমাদের সাথে থাকবেন। আর একটা অনুরোধ করতে চাই, আদর্শিক পার্থক্য বা নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কারণে গালিগালাজ তথা নেতিবাচক মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। এখনও কিছু মানুষ আছেন যারা মূল্যবোধ, দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস- এই শব্দগুলোর মানে বোঝেন। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, নিজের আপত্তি বা ক্ষোভ যৌক্তিক এবং শোভনীয় ভাষায় তুলে ধরুন।’
মাহি জানিয়েছেন যে প্রায় দুই বছর আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা তাদের দুই পরিবার ছাড়া কেউ জানত না।বিচ্ছেদের পরও গত দুই বছর তারা দুজন বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘুরেছেন যার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। এসব দেখে মানুষ ঘটনাটা জানতে পারেনি।
মাহিয়া মাহি ‘নরসুন্দরী’, ‘বুবুজান’, ‘যাও পাখি বলো তারে’, ‘আবির্ভাব’, ‘গ্যাংস্টার’ এসব ছবিতে বর্তমানে কাজ করছেন।